পটুয়াখালীর গলাচিপায় তিনটি এলাকা মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ব্রিজটি যেন এক মরণফাঁদ। এই ব্রিজটি হয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক লোকজন পারাপার করে।
ব্রিজের পাশে বিদ্যালয় থাকায় শিশু-কিশোররা প্রতিদিন পারাপার হয়। ব্রিজটি পার হতে মাঝে মাঝে ঘটে দুর্ঘটনা। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম দিকে একটি প্রবাহিত হয়েছে। খালের দুই পাড়ে রয়েছে বাঁশবাড়িয়া গ্রাম, যা ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। আর খালটিতে রয়েছে দু’টি ব্রিজ। খালের দক্ষিণ পাশে পশ্চিম বাঁশবাড়িয়া দরিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উত্তর পাশের গ্রাম থেকে ব্রিজ পার হয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টিতে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের কনক্রিট পাটাতন ভেঙে গেছে। ভাঙা জায়গাগুলো ফাঁকা। কয়েক স্থানে কনক্রিট ভেঙে রড বেড়িয়ে গেছে। ফাঁকা স্থানে কাঠ বা গাছ দিলেও যা শিশুদের পারাপারে অনুপযোগী।
ব্রিজ-সংলগ্ন পশ্চিম বাঁশবাড়িয়া দরিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: মজিবুল হক জানান, খালটিতে পূর্বে-পশ্চিম দু’টি ব্রিজ রয়েছে। কনক্রিটের পাটার ব্রিজ দুটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। পাটাতন সরে ফাঁকা হয়ে গেছে, যা চলাচলের জন্য অনুপযোগী ও বিপজ্জনক। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কাঠ-বাঁশ দিয়ে ব্রিজ মেরামত করলেও বর্ষাকালে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, খালের অপর প্রান্তের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পার হয়ে আসতে হয়। বিদ্যালয় আসতে প্রায়ই সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এছাড়াও বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কচুয়া, কল্যাণকলস, কলাগাছিয়া বাজার, খারিজ্জমা যেতে হয়।
স্থানীয় হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমার ছেলে তামিম বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। ঈদের দিন তামিম ওই ব্রিজ দিয়ে আসার সময় পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এমনভাবে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আহত হয় সেখানে।’কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সামসুদ্দিন মিয়া শানু জানান, ১৫ বছর আগে ব্রিজ দু’টি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এলজিএসপির আওতায় সংস্কার করা হলেও এরপর আর সংস্কার না করায় ব্রিজ দু’টির বেহাল অবস্থা।
গলাচিপা উপজেলর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মাইনুল ইসলাম জানান, ব্রিজ দুটি সরেজমিনে দেখে ইউনিয়ন পরিষদ যদি বরাদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।